Monday 13 July 2020

পশুপ্রজাতিভিত্তিক রাজনীতি


পশুপ্রজাতিভিত্তিক রাজনীতি

        রূপালী গঙ্গোপাধ্যায়ের আনন্দবাজার পত্রিকা-র সম্পাদকীয় পাতায় ১২ই জুলাই ২০২০-তে প্রকাশিত প্রবন্ধের (‘অপরাধী থাকে আয়নায়’) পরিপ্রেক্ষিতে আমিষ আহার, নৃশংসতা ও রাজনীতি—এই তিন বিষয়ের সম্পর্ক নিয়ে আমার এই লেখা। প্রথমেই দেখা যাক কী ধরনের পশুর মাংস খাওয়া নিয়ে নানা ধার্মিক ও সাংস্কৃতিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। জৈন ধর্মে সব রকম আমিষ খাওয়াই বাদ, যদিও দুধ খাওয়া বারণ নয়। ইহুদি ধর্মে খৃষ্ট, হিন্দু বা ইসলাম ধর্মের চেয়ে নিষিদ্ধতার তালিকাটি বড়। কিছু পশুকে নোংরা মনে করা হয় এবং ফলে তাদের মাংস খাওয়াও বারণ। উভচর প্রাণী যেরকম ব্যাঙ খাওয়ার বিরুদ্ধে ইহুদিরা বলে। প্রধানত, মাংসাহারী চার-পেয় প্রাণী খাওয়ার বিরুদ্ধেও বেশির ভাগ ধর্মেই চল আছে। ফলে, যেরকম কাক, শকুন, চিল, বাজ, ঈগল পাখি খাওয়াও বেশির ভাগ ধর্মেই বারণ, সেরকম কুকুর, বেড়াল খাওয়াও বারণ। তবে, চীন, কোরিয়া, ভিয়েতনাম, এবং আমাদের দেশে নাগাল্যান্ড এ কুকুর ও বেড়াল খাওয়ার রীতি আছে। মণিপুর ও মিজোরাম এ কুকুর খাওয়ার রীতি থাকলেও বেড়াল কেউ বিশেষ খায় না। আমিষ মানুষদের মধ্যে পূর্ব আফ্রিকার কিছু এলাকায় মাছ খাওয়া বারণ এবং ইহুদি ধর্মে যে সব সামুদ্রিক প্রাণীর আঁশ থাকে না, তা খাওয়ার বিরুদ্ধে ফর্মান জারি আছে। বিনা আঁশ সামুদ্রিক খোলাযুক্ত প্রাণী যেরকম চিংড়ি, কাঁকড়া, ওয়েস্টার এই ইহুদি নিষিদ্ধতালিকার বাইরেও এক ধরনের মানুষের পক্ষে খাওয়া বারণ—কোন প্রথার উপর ভিত্তি করে নয় যদিও, বরং শারীরিক কারণে—যাদের ওই খোলায় এলার্জি হয়।
        ইহুদিদের নিষিদ্ধের তালিকায় যে সকল পশুদের পা কাটা নয়, যেমন উট, ঘোড়া ও খরগোশ, তাও আছে। উটের মাংসের ইসলামে চল আছে ও ঘোড়ার মাংস ইসলামে ও ইউরোপীয় খ্রীষ্টানদের মধ্যে অনেকেই খায়। সরীসৃপ আহার ইহুদি ও ইসলাম ধর্মে বারণ যদিও ভারতে নাগাল্যান্ডে কিছু মানুষেরা সাপ খায়। ইঁদুর আহার আমাদের পশ্চিমবঙ্গেই হয়। কুমির পূর্ব এশিয়ায় অনেক দেশেই খায়। বাদুড় পাখি নয় কিন্তু উড়ে বেড়ায়। যে প্রাণী কে বোঝাই শক্ত, তাকে খেতেও কিছু অসুবিধা হয়। ফলে ইহুদি ও ইসলাম ধর্মে এর বিরুদ্ধেও নির্দেশ আছে। মানুষকে আক্রমণ করে যে সব বড় প্রাণী, যেরকম বাঘ, সিং, ভাল্লুক—তাদের সংখ্যাও কম ও ধরাও মুশকিল। ইহুদি ও ইসলাম ধর্মের নিষিদ্ধাবলীতে এই সকল প্রাণীর মাংস থাকাটা খুব একটা তফাৎ সৃষ্টি হয়তো করে না। ভারতের উত্তর-পূর্ব পাহাড়ের কিছু মানুষেরা যদিও এরকম প্রাণীর মাংস পেলে, খেয়ে নেয়। অনেক বাঙালিরা মুরগি খায় না যদিও তারা পাঠার মাংস খায়। পড়ে রইল গরু ও শুয়োর—যার বিষয় পাঠকেরা হয়তো ওয়াকিবহাল। এই দীর্ঘ তালিকা প্রস্তুত করার উদ্দেশ্য একটাই—মানুষে অন্য মানুষ ছাড়া বাকি সকল প্রাণীকে হত্যা ও আহার করা সামগ্রিক ভাবে নিষিদ্ধ মনে করে না।
        পশু প্রেম ও পালিত পশু প্রেমের মধ্যে একটা তফাৎ আছে। মানুষে পাখি, কুকুর, বেড়াল, গরু ও ঘোড়া সাধারণ ভাবে পোষে। তার মধ্যে গরু ও ঘোড়াকে কাজে লাগানো হয়। বিনা কাজে লাগিয়ে স্রেফ সখ করে গরু ঘোড়া খুব বেশি মানুষে পোষে না। কুকুরকে প্রহরী হিসেবে কিছু মানুষ রাখে ও কিছু মানুষ শিকারি হিসেবে রাখে। কিন্তু হয়তো তার চেয়ে বেশি মানুষে, বেড়ালের মত করে কুকুর পোষে, স্রেফ নিজের সখের জন্য। এই সখ করে পোষ্য রাখা কিছুটা জোগান ও কিছুটা প্রথার উপর নির্ভরশীল। কেউ পোষা ইঁদুর রাখতেই পারে, স্টুয়ার্ট লিট্টিলের মত তবে তার চল কম। অনেকে পোষা বাঘ, ভাল্লুক, সাপ রাখে। তা কিছু এলাকায় আইনত অপরাধ, কিছু এলাকায় নয়, কিন্তু এই প্রাণীগুলি মানুষ মারতে পারে, ফলে এর চল-ও কম। পশু প্রেম—গরু, ছাগল, কুকুর, ভাল্লুক, শুয়োর—সবার প্রতি-ই হতে পারে। আইন ও প্রথা অনুযায়ী এর মধ্যে কিছু পশুদের সঙ্গে মানুষে সহবাস করে।
        পশু খাওয়া কি নৃশংসতার প্রমাণ? মৌরলা মাছ খাওয়া ও খরগোশ খাওয়ার মধ্যে কি পার্থক্য আছে? মানুষে অন্য পশু না খেয়েও দিব্যি থাকতে পারে। ভিগানরা যেরকম থাকে। এই খাওয়ার খেয়ে কেউ কমজোরী-ও হয়ে ওঠে না। বিরাট কোহলি ও সেরিনা উইলিয়ামস দুজনেই কিছু বছর ধরে ভিগান। এদের শারীরিক ক্ষমতা নিয়ে সংশয় হওয়ার কথা নয়। অন্য পশু হত্যা কি প্রাকৃতিক ধারার বিপরীতে? না, পশুরা হয়ে আমিষ বা নিরামিষ বা উভয়আহারী। পশু হত্যা করা কি অনৈতিক? ব্যাপারটা প্রাকৃতিক হলে অনৈতিক হওয়ার কারণ নেই। তাহলে ব্যাপারটা কী? প্রশ্নটা নিজের পছন্দ করার হকের। আমার পছন্দ যদি অন্য কারুর অপছন্দ হয়ে তবে? যতক্ষণ আমি অন্য আরেক প্রাণী যে নিজের পছন্দ ব্যপ্ত করতে চাইছে এবং যাকে আমি সমান অধিকারের হকদার মনে করছি, তার ক্ষতি না করছি, ততক্ষণ আমার পছন্দের উপর অন্য কারুর বাঁধা সৃষ্টি করা অনৈতিক। মুরগি তো বলে না বাবা, এসো আমায় খাও—তার পছন্দের কী হল? মানুষ বাদে অন্য প্রাণীদের মানুষেরা সমান অধিকারের হকদার মনে করে না। যদি অন্য পশুদের কোন অধিকার নেই, তবে মুরগি খাই কী কচ্ছপ খাই, তার মধ্যে তফাৎ কী? তফাৎ এই যে মানুষে নিজের স্বার্থে জানে যে তাদের পৃথিবীটাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে, না হলে মানুষেরা নিজেরাই বিপদে পড়বে। ফলে প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য বজায় রাখা মানুষের স্বার্থেই জরুরি। কচ্ছপের সংখ্যা যেহেতু কম তাই কচ্ছপ বাঁচিয়ে রাখতে হবে এবং মুরগির সংখ্যা যেহেতু বেশি তাই মুরগি হত্যা মানুষের স্বার্থকে ক্ষতি করে না। ভারতে সাধারণত ক্যাঙারু পাওয়া যায় না। অস্ট্রেলিয়ায় যেখানে অনেক ক্যাঙারু পাওয়া যায়, সেখানে মানুষে ক্যাঙারু খায়, ভারতে না।
        ধার্মিক নিষিদ্ধাবলীতে যে সব পশুর মাংস খাওয়া বারণ, তার কারণ হিসেবে সেই সব প্রাণীকে নোংরা ভাবা হয়ে অথবা ভারতে গরুর মত পবিত্র ভাবা হয়। এই পবিত্র-নোংরার ফারাকটা মানুষে সামগ্রিক ভাবে দেখে না, যেরকম আগের উদাহরণগুলি থেকে স্পষ্ট। ফলে, এক দলের মতকে অন্য দলের উপ চাপিয়ে দেওয়াটা গায়ের জোর দেখানো। সম্প্রতি, চীনে কোরোনাভাইরাস বলা হচ্ছে বাদুড় ও প্যাঙ্গোলিনের থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে। এই বাদুড় ও প্যাঙ্গোলিনের মাংস ওখানকার মানুষেরা খায়। কেন খায় প্রশ্ন করা বৃথা। সবাই কেন বিরাট কোহলি ও সেরিনা উইলিয়ামসের মত ভিগান নয়? শুয়োর থেকে সোয়াইন ফ্লু হয়, গরু থেকে ফুট এন্ড মাউথ রোগ, মুরগি থেকে বার্ড ফ্লু। কোন প্রাণীর সংখ্যা খুব কম না হলে, তা খাওয়া অনৈতিক কেন? এটা আবার সেই এক দলের মত অন্য দলের উপর চাপিয়ে দেওয়া। ভারতে, গরুর রচনার ইতিহাস খুব লম্বা এবং আলোচনা করতে গেলে এক দল মানুষ মারতে ছুটে আসে। তাই, সেটা আপাতত বাদ-ই দিলাম। সম্প্রতি মিজোরাম ও নাগাল্যান্ড কুকুর বেড়ালের মাংসের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আবার সেই এক দলের রুচি আরেক দলের উপর চাপিয়ে দেওয়া। এর সঙ্গে নৃশংসতা বা পশু প্রেমের কম সম্পর্ক আছে। ব্যাপারটা রাজনৈতিক।
        রূপালী গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেছেন যে আমরা বর্বর পদ্ধতিতে মুরগি না মেরে যন্ত্রণাবিহীন পদ্ধতিতে কেন মারি না। মুরগির মরা নিয়ে প্রশ্ন না করে মুরগির বাঁচা নিয়ে প্রশ্ন হয়তো বেশি গুরত্বপূর্ণ। ফ্রি-রেঞ্জ মুরগি, ডিম ইত্যাদি বাজারে পাওয়া যায়, অনেক ক্ষেত্রে বাক্সে বা ঠোঙায় হাসি হাসি মুরগির ছবি সমেত। মানুষের স্বার্থে ফ্রি-রেঞ্জ মুরগি, ডিম বেশি ভালো কারণ তাতে কৃত্রিম ওষুধ থাকে না। তবে মুরগির ক্ষেত্রে কি সেটা ভালো? ‘জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে,’ মাইকেল লিখেছিলেন। তবে যতদিন বেঁচে আছি, ততদিন যেন সুখে থাকি।
        কোন প্রাণীর যার শরীরে রক্ত বয়ে, সে এক ঝটকায় না মরে, যদি আস্তে আস্তে তার মৃত্যু হয়, তাহলে মৃত্যুর পর তার মাংস নরম হয়। এই বেশি বেদনাদায়ক পদ্ধতি প্রথায় পরিণত হওয়ায়, মানুষে ধার্মিক সান্ত্বনার রীতি খুঁজে বার করেছে যাতে মানুষের অন্য এক প্রাণীকে বেদনা দেওয়ার যে পীড়া, সেটা কম হয়। কসাইদের পীড়ার কথা কম গল্পেই লেখা থাকে। সাম্প্রতিককালে, পেরুমাল মুরুগানের পূনাচি উপন্যাসে এক কসাই কিছু ছাগলের নির্বীজকরণ করার পর হাউ হাউ করে কাঁদতে থাকে যে সে পাপী এবং মদ খেতে থাকে নিজের ভিতরের বিষাদ কম করার জন্য। সাহিত্যিক মুরুগান এই ঘটনা নিয়ে আর বিশেষ কিছু বলে না, একটা নিস্তবদ্ধতা রয়ে যায় এই ঘটনা নিয়ে। কসাইদের বেদনা নিয়েও সাহিত্যে এবং সমাজে সাধারণত একটা নিস্তবদ্ধতা বজায় থাকে। ফিরে যাওয়া যাক, মানুষের আহারের জন্য প্রাণী হত্যার পদ্ধতিতে। মারার আগে প্রাণীটিকে দৌড় করালে, বলা হয়, প্রাণীটির মৃত্যুর পর তার মাংস আরো নরম হয়। এই পদ্ধতি কার্যকর করা যেহেতু মুশকিল, তাই মানুষে এটার সচরচর অবলম্বন করে না।
        অন্য পশু হত্যার মধ্যে যে নৃশংসতা আছে, তার চেয়েও বেশি নৃশংসতা আছে মানুষের আহারের জন্য অন্য পশুদের বাঁচিয়ে রাখার কিছু পদ্ধতিতে, যাকে ইংরেজিতে বলা হয় ফ্যাক্ট্রি ফার্মিং। তবে, কিছু পশু হত্যা বেআইনি করে দেওয়া স্রেফ কিছু মানুষের নোংরা বা পবিত্রতার ভিত্তিতে রাজনৈতিক মত ও শক্তি চাপিয়ে দেওয়া ছাড়া অন্য কিছু নয়। পশু জীবন শেষ করে দেওয়া নিষ্টুর কিন্তু প্রাকৃতিক ধারার বিপরীত নয়। পশুকে জীবিত রেখে তার উপর নিষ্টুরতা চালানো বরং বেশি নিষ্টুর। আধুনিক ডেয়ারি ফার্ম-ও মানুষের নৃশংসতার প্রমাণ। গরুর আলোচনায় এই বিষয়টা চাপা পড়ে যায় কারণ তাতে ধর্মকে অতিক্রম করে মানুষের ক্ষতি।
        অন্য পশুদের প্রতি মানুষের আহার ভিত্তিক নৃশংসতা ছাড়াও আছে, দৈনন্দিন অল্প বিচ্ছিন্ন নিষ্টুরতার ঘটনা যাতে মানুষের কোন লাভ হয় না, স্রেফ বিকৃত কোন আনন্দ ছাড়া। সমাজে নানা বিকৃত আচরণের মত করেই একে দেখতে হবে আলাদা ভাবে পশুদের প্রতি নিষ্টুরতা হিসেবে না দেখে। পশুদের নিয়ে লেখা নীতিবাক্যের ইতিহাসে দেখা যায় পশুদের প্রতি লেখকেরা মানুষদের সমবেদনশীল হতে বলে কারণ তাতে নাকি মানুষের মন অন্য মানুষের প্রতিও সহানুভূতিশীল হয়। কেউ এই যুক্তি দিয়ে বলতেই পারে নিরামিষ মানুষেরা বেশি সমবেদনশীল। ভারতের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ নিরামিষ আহার করে, কিন্তু তার সঙ্গে ভারতের মানুষের সহানুভূতির মাপকাঠির কোন যোগসূত্র আছে দাবি করাটা নিষ্ফল। রূপালী গঙ্গোপাধ্যায় যে মন্তব্য করেছেন যে ভারতীয়দের মানুষের প্রতি নিষ্টুরতা ও পশুদের প্রতি নিষ্টুরতার মধ্যে একটা সম্পর্ক আছে, সেই যুক্তি অনুযায়ী হয়তো বলা যেতে পারে যে যে নিরামিষ ব্যক্তিরা পশুদের প্রতি কোন বিকৃত আচরণ করে না, তারা মানুষের প্রতিও অতি সমবেদনশীল। আমাদের নিরামিষ রাজনৈতিক নেতা নেত্রীরা যারা হিংস্রাত্মক আচরণের প্ররোচনা দেয়ে তারা হয়তো এই যুক্তিটা নাও মানতে পারে।
        মানুষের স্বঘোষিত পশু প্রেম বুঝতে হলে বুঝতে হবে যে কোন মানুষই যেরকম সকল মানুষকে ভালোবাসে না, কিছু কিছু মানুষকে ভালোবাসার সৌভাগ্য তার হতে পারে, সেরকমই কোন মানুষই সব পশুকে ভালোবাসে না, কিছু কিছু পশু বা একটি প্রাণীর প্রতি তার বিশেষ টান। অন্য প্রাণীদের প্রতি তার হয়তো একটা নিষ্টুরতা রয়েই যায়, যেরকম যারা আধুনিক ডেয়ারি ফার্মের দ্রব্য খায়। বিশেষ করে কোন প্রজাতির পশুর প্রতি সমবেদনশীলতা দেখতে গেলে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাবে, সেটা কোন প্রজাতির পশুর প্রতি সমবেদনশীলতার চেয়ে কোন প্রজাতির মানুষের বিরুদ্ধে যাওয়া। যেরকম চীনের বাদুড় খাওয়ার রীতি বন্ধ করার ডাক, বা নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরামে কুকুর খাওয়া বন্ধ করার ডাক বা গো-রাজনীতি।
        মানুষে এই পৃথিবীতে এক প্রজাতিভিত্তিক আধিপত্য বজায় রাখে। অন্য পশুদের খাওয়ার চেয়ে বড় অন্য পশুদের জীবদ্দশায় জব্দ করে রাখা এবং ব্যবহার করা। সহবাস করা এবং বলপূর্বক জব্দ করা এক নয়। পশু খাওয়া রাজনীতি মানুষের প্রজাতিভিত্তিক আধিপত্যের প্রতিফলনের একটা ছোট অঙ্গ।